বাংলা
Eng
menu-icon

Aims

পটভূমি:

বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নামে বিতর্কিত আদালত গঠন করে আওয়ামীলীগ সরকার মানবতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধ, এবং আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচারের আয়োজন করে। এই ট্রাইব্যুনালে সাক্ষীদের উপস্থাপন করার জন্য চাপ প্রয়োগ, ভীতি, ও অযাচিত প্রভাবের মাধ্যমে সাক্ষীদেরকে সেফ হোমে রেখে মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করেছে রাষ্ট্রযন্ত্র। মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে অস্বীকার করায় সুখরঞ্জন বালি নামে একজন সাক্ষীকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে গুম করার মতো গর্হিত কাজের নজির তৈরি করেছে রাষ্ট্র। সাক্ষী বিচারের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। তাই সাক্ষীদের অধিকার আদায়, সুরক্ষার জন্য সচেতনতা তৈরি, এবং তাদের জীবনের রূঢ় বাস্তবতা মিডিয়ার সামনে তুলে ধরতে AWT ১লা অক্টোবর ২০২৪ খ্রী. প্রতিষ্ঠিত হয়।

লক্ষ্য:

একটি স্বচ্ছ, নিরাপদ ও ন্যায়সঙ্গত বিচারব্যবস্থার বাংলাদেশ গড়ার জন্য সচেতনতা তৈরি ও সমর্থন প্রকাশ করা, যেখানে প্রত্যেক সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য দেওয়ার সময় ভয়, চাপ বা অযাচিত প্রভাবমুক্ত একটি সুরক্ষিত পরিবেশের নিশ্চিয়তা পায় এবং তাদের সাক্ষ্য দেওয়ার অধিকার সুরক্ষিত থাকে।

উদ্দেশ্য:

সাক্ষীদের জন্য সুরক্ষার আইন প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ: সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য একটি কমিশন প্রতিষ্ঠা ও আইন তৈরির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ ও নীতি প্রণয়নে কাজ করা।

সাক্ষীদের সুরক্ষা প্রদান: সাক্ষীদের সুরক্ষার বিষয়ে সহায়তা করা। বিশেষ করে হুমকির মুখে থাকা সাক্ষীদের জন্য মানসিক, আইনি, এবং শারীরিক সুরক্ষার ব্যবস্থা করা।

সচেতনতা বৃদ্ধি: গণমাধ্যম, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এবং কমিউনিটির/সমাজের মধ্যে সাক্ষীদের সুরক্ষার গুরুত্ব নিয়ে সচেতনতা তৈরি করা। যেমন, ওয়েবিনার করা, কর্মশালা, এবং প্রচারপত্র তৈরি করা।

গবেষণা ও ডকুমেন্টেশন: সাক্ষীদের নিরাপত্তার অভাব এবং এর কারণে ন্যায়বিচারে ব্যাঘাতের বিষয়ে গবেষণা এবং তথ্য সংগ্রহ করে গণমাধ্যমে প্রকাশ ও বাৎসরিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা।

আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ: সাক্ষী সুরক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক মানদণ্ডগুলো অনুসরণ করে বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থায় তা বাস্তবায়নের চেষ্টা করা।

আইনি সহায়তা কেন্দ্র স্থাপন: সাক্ষীদের আইনি সহায়তা প্রদানের জন্য আইনি সহায়তা কেন্দ্র স্থাপন করা।

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ফোরামে অংশগ্রহণ: সাক্ষী সুরক্ষা সংক্রান্ত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ফোরামে অংশগ্রহণ করে নিজেদের মতামত তুলে ধরা।